ট্রাশ ও নেপস কি?

ফেব্রিক নেপস
ফেব্রিক নেপস
ট্রাশ কি?
কটনের মধ্যে কটন ছাড়া অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমনঃ মরাপাতা, ভাঙা পাতা, কঁড়ি, ধুলাবালি, ময়লা ও বীজের ভাঙা টুকরা ইত্যাদিকে ট্রাশ বলে।

কটনের মধ্যে কত শতাংশ পর্যন্ত ট্রাশ থাকে?
সাধারণত কটনের মধ্যে ১ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ট্রাশ থাকে।

ট্রাশ কত প্রকার?
ট্রাশ দুই প্রকারঃ
  • দৃশ্যমান ট্রাশ
  • অদৃশ্যমান ট্রাশ

(১) দৃশ্যমান ট্রাশ কি?

কটনের মধ্যে যে সমস্ত ট্রাশ সরাসরি দেখা যায় তাকে দৃশ্যমান ট্রাশ বলে।

(২) অদৃশ্যমান ট্রাশ কি?
কটনের মধ্যে যে সমস্ত ট্রাশ সরাসরি দেখা যায় না তাকে অদৃশ্যমান ট্রাশ বলে।

ট্রাশের শতকরা হার বের করার সূত্র কি?
ট্রাশের শতকরা হার বের করার সূত্রঃ

ট্রাশ℅ = [(নমুনা কটনের ওজন) - (পরিষ্কার কটনের ওজন)÷(নমুনা কটনের ওজন)]×১০০

নেপস কি?
নেপস (Neps) হল কত গুলো আঁশ যা একক পর্যায়ে না গিয়ে একত্রিত হয়ে ক্ষুদ্র জট আকারে শক্ত দানার সৃষ্টি করে।

নেপস কত পাঁচ প্রকার?
নেপস পাঁচ প্রকারঃ
(১) প্রসেস নেপস
(২) মিক্সড নেপস
(৩) অপরিপক্ক নেপস
(৪) হোমোজিনিয়াস ডেড নেপস
(৫) ফাজ নেপস

(১) প্রসেস নেপস কি?
ত্রুটিপূর্ণ কার্ডিং মেশিনের জন্য এই নেপস হয়ে থাকে।

(২) মিক্সড নেপস কি?

ফাইবার ছাড়া বিভিন্ন রকম অপদ্রব্য যেমনঃ পাথরের কুঁচি, কাঁকড়, বালুকণা ইত্যাদির চারপার্শে জমাট বেধে এই নেপস তৈরি হয়।

(৩) অপরিপক্ক নেপস কি?
অপরিপক্ব ফাইবার প্রসেস করার ফলে এই নেপস তৈরি হয়।

(৪) হোমোজিনিয়াস ডেড নেপস কি?
মৃত ফাইবারের জমাট বাঁধা দানার কারণে এ নেপস এর সৃষ্টি হয়।

(৫) ফাজ নেপস কি?

অতি ক্ষুদ্র ফাইবারের দানাদার গুটির কারণে এ নেপস এর সৃষ্টি হয়।

নেপস সৃষ্টির কারণগুলো কি কি?
নেপস সৃষ্টির কারন হল যেমনঃ
  • সিলিন্ডার, লিকার-ইন, ডফার, ফ্ল্যাট টপস ওয়ার (Cylinder, Licker-in, Doffer, Flat Tops Wire)
  • সিগমেন্ট, ব্যাক-ফ্রন্ট ষ্টেশনারী (Segment, Back-front Stationary) ইত্যাদি Card Clothing এবং সকল নাইফ (All Knife) যদি বড়, ছোট, কিংবা ছোট আকারে ও ডেমেজ থাকে তাহলে নেপস সৃষ্টি হবে।
  • সিলিন্ডার, ডফার, ফ্ল্যাট টপস, লিকার-ইন, সিগমেন্ট, ষ্টেশনারী ইত্যাদির যদি ধার (Surface) না থাকে তাহলে নেপস সৃষ্টি হবে।
  • প্রসেস চলাকালীন সময়ে এ যদি মৃত ফাইবার (Dead Fiber) থাকে তবে তা থেকে ও নেপস সৃষ্টি হয়।
  • গেইজ সেটিং এ যদি সঠিক সেটিং এর চেয়ে বেশি ফাঁকা (Open) থাকে  তাহলে নেপস সৃষ্টি হবে।
Next Post Previous Post