তুলার গ্রেডিং এর সময় কোন কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হয়?

যদিও কটনের গ্রেডিং একেক দেশের জন্য একেক রকমভাবে নির্ধারণ করা হয়। তথাপিও কটনের সাধারণ গ্রেডিং এর সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর দৃষ্টি রাখতে হয়ঃ
  • কটন এর রং (Colour)
  • কটনের মধ্যে ট্রাশ
  • কটনের প্রস্তুতপ্রণালী বা method of preparation অথবা (Style of cotton)। 
  • কটন এর রং (Colour)
বিভিন্ন প্রকার তুলার বিভিন্ন ধরনের রং থাকতে পারে। আবার একই গাছের একই ফলের তুলার মধ্যেও কিছুটা রং এর তারতম্য দেখা যায়। কটন বা তুলার ফল যখন পোকা দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন সেটা থেকে আঠাজাতীয় পদার্থ বের হয় ফলে তুলাকে হলুদ বর্ণের পরিণত করে। আবার বিলম্বে তুলা উঠানোর ফলে কটন এর রং হলুদ বর্ণ ধারণ করে। 

তুলা
তুলা
আর যদি কটনকে সময়মতো ঘরে না উঠিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মাঠে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয় তাহলে এর উজ্জ্বলতা কমে গিয়ে ডার্কার কালার ধারণ করে। তুলার ব্যবহারের দিকে লক্ষ রেখে তাকে পাঁচটি প্রধান কালারে বিভক্ত করা যায়ঃ
  • সাদা (White)
  • ধূসর (Gray)
  • হলুদ দাগ যুক্ত (Yellow spot)
  • স্পটেট (Spotted)
  • টিঞ্জড (Tinged)
তুলার গ্রেডিং এ রং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি একই কটন বেলে বিভিন্ন রং এর কটন পরিলক্ষিত হয় তখন তাকে ভাল মানের তুলা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। আর সেজন্য কটন গ্রেডিং এর সময় লক্ষ রাখতে হয়, কটনের রং যতদূর সম্ভব সম হতে হবে। বর্তমান সময়ে কটনের রঙ নির্ণয়ের জন্য উন্নত মানের মেশিন আবিষ্কার হয়েছে। 

কটনের মধ্যে ট্রাশ

কটনের মধ্যে ট্রাশ বা Foreign matter কটনের গুণাগুণ বা মান অনুযায়ী ১% থেকে ১৫% হয়ে থাকে। পরিষ্কার তুলার মধ্যে ট্রাশ ১% এবং নিম্নমানের তুলার মধ্যে অপদ্রব্য বা ট্রাশ থাকে। ট্রাশগুলো সাধারণত বীজ, বীজের ভাঙ্গা অংশ, পাতার টুকরো অংশ, বালি, ডাল, তৈল ও ময়লা ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত হয় থাকে। 

কটনের প্রস্তুতপ্রণালী বা method of preparation অথবা (Style of cotton)

এটি বলতে বুঝায় জিনিং এর পূর্বে তুলাকে কিভাবে মজবুত করা হয় এবং তুলাকে কিভাবে ব্যবহার করা হয়। কটন প্রস্তুত নির্ভর করে জিনিং এর গুণাগুণের উপর। 

এটি ভিজিবল (Visible) quality factor যেমনঃ Uniformity, openness, neppiness, cut and damaged fibre ইত্যাদির উপর নির্ভর করে থাকে। 
Next Post Previous Post